হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়

 হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় :


হাটুর ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে রয়েছে আকান্ত হাটুতে বিশ্রাম দেওয়া ,বরফ সেক দেওয়া এবং compression ( ব্যান্ডেজ দিয়ে চাপ দিয়ে রাখা ) এবং আকান্ত পা উচু  করে রাখা, এছাড়াও মেথি ও তুলসী ব্যাবহার করা ,নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা ও হালকা তেল দেওয়া । 






হাটুর ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে রয়েছে আকান্ত হাটুতে বিশ্রাম দেওয়া ,বরফ সেক দেওয়া এবং compression ( ব্যান্ডেজ দিয়ে চাপ দিয়ে রাখা ) এবং আকান্ত পা উচু  করে রাখা, এছাড়াও মেথি ও তুলসী ব্যাবহার করা ,নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা ও হালকা তেল দেওয়া ।

পেজ সূচিপএ ঃ হাটুর ব্যথা হলে যা করতে হবে।





হাটুর ব্যথা হলে যা করতে হবেঃ

হাটুর ব্যথা আনেক কারণেই হতে পারে - অতিরিক্ত পরিশ্রম, আঘাত,বাত,ইউরিক অ্যাসিড,বা হাড়-সন্ধির সমস্যা ইত্যাদি।হাটু ব্যাথা হলে হাটুর উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। বেশি হাটা, দৌড়ানো বা ভারী জিনিস তোলা এড়িয়ে চলুন।দিনে কয়েকবার ১৫-২০ মিনিট বরফ সেক দিলে ফোলা ও ব্যাথা কমে।



হাটুর ব্যথা কমানোর সহজ ব্যায়াম ; যেমন প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় ১০-১৫ মিনিট করতে পারেন কোয়াড্রিসেপ সেট, যেমন - সোজা হয়ে শুয়ে পড়া, হাটু সোজা রেখে উরুর পেশি শক্ত করে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন। প্রতি দিন ১০ বার করে করুন।




হাটুর ব্যথা দ্রত নিরাময়ে কাযকারী ঘরোয়া উপায়ঃ

হাটুর ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় কয়েকটা সহজভাবে বলছি যেমন - নরম তোয়লা গরম পানিতে ভিজিয়ে হাটুর ওপর ১০-১৫ মিনিট ধরে রাখুন এতে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা কমে।হাটু ফুলে গেলে বরফ কাপড়ে মুড়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে সেক দিন এতে প্রদাহ ও ফোলা কমবে।অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল হাটুর চারপাশে মালিশ করলে হাটু ব্যাথা ও কাঠিন্য কমে।



এছাড়াও গরম পানির সঞে লেবু ও মধু ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে,যা হাটুর ব্যাথার অন্যতম কারন ।তাছাড়া যোগব্যায়াম, হালাক স্ট্রেচিং, সাতার বা হাটা হাটুর জয়েন্ট শক্ত রাখে।শরীরের ওজন বেশি হলে হাটুর ওপর চাপ পড়ে, তাই ওজন নিয়ন্তন খুব জরুরী।



হাটু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও বিশেষ প্রতিকারঃ


হাটু ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকার যেমন- ব্যাথা ও ফোলা থাকলে ২-৩ বার বরফ সেক দিন, ব্যাথা বেশি  কিন্ত  ফোলা না থাকলে গরম পানি সেক উপকারি। এছাড়াও আদা ও হলুদ এক কাপ গরম পানীতে চা বানিয়ে খেতে পারেন। মেথি পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে হাটু ব্যাথায় আরাম মিলে।


সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল গরম করে হাটুর চারপাশে মালিশ করলে ব্যাথা কমে।হাটুতে অতিরিক্ত চাপ পড়া কাজ ( দীঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা , সিড়ি ওঠা-নামা ,ভারি ওজন তোলা) এড়িয়ে চলুন  
‌ 

হাঁটুর ব্যথা সারানোর খাবার :

হাঁটুর ব্যথা অনেক সময় হাড়, জয়েন্ট, মাংসপেশী ও তরুণাস্থির দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে। সঠিক খাবার খেলে ব্যথা কমাতে এবং জয়েন্টকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে যেমন-  সামুদ্রিক মাছ,দুধ দই পনির বাদাম তিল শাকসবজি ইত্যাদি হাড় মজবুত করে।

এছাড়াও  ডিমের কুসুম, ফ্যাটি ফিশ ,ও সূর্যের আলো ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায় ও হার শক্তিশালী করে। কমলা লেবু ,পেয়ারা ,স্ট্রবেরি ক্লোলাজেন তৈরি করে যা হার মজবুত করতে সহায়তা করে।



হাটুর ব্যথার আয়ুবেদিক চিকৎসা:


হাঁটুর ব্যথার জন্য আয়ুর্বেদিক অনেক কার্যকর ভেষজ ও ঘরোয়া চিকিৎসা আছে। এগুলো মূলত প্রদাহ কমানো, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো, হাড়-জয়েন্ট শক্ত করা ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। হাঁটুর ব্যাথায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যেমন - অশ্বগন্ধা এটা এটা জয়েন্টের শক্তি বাড়ায়, প্রদাহ কমায়। এছাড়াও শলাকি প্রাকৃতিক প্রদাহ নাশক আথ্রাইটিসে উপকারী।

এছাড়াও আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া উপায় যেমন-একটা গরম দুধে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত খেলে প্রদাহ কমে, তাছাড়াও আধা ও লেবু দিয়ে নিয়মিত চা খেলে হাঁটুর ব্যথায় আরাম দেয়। মেথিদানা রাতে ভিজিয়ে খেলে জয়ন্ত শক্তিশালী করে ও খালি পেটে দুই থেকে তিন পোয়া রসুন খেলেও প্রদাহ কমে। 


মেয়েদের হাঁটু ব্যথা :


‌‌মেয়েদের হাঁটুর ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এটি বয়স, হরমোন পরিবর্তন, জীবনযাত্রা ও শরীরের গঠনগত কারণে বেশি দেখা দেয়। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত কারণ ব্যথা বাড়ায় যেমন- হরমোনাল পরিবর্তন মাসিকের সময় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেক্টেরন হরমোনের ওঠা নামায় জয়েণ্ট দুর্বল হয়ে থাকে।


এছাড়াও জীবনযাত্রা কারণ যেমন-বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকা, হাই হিল পড়া, ওজন বেশি হওয়া, ও ব্যায়ামের অভাবের কারণেও ব্যথা হয়ে থাকে। তাছাড়া  অন্যান্য কারণ যেমন-গর্ভাবস্থায় হার ও জয়েন্টে চাপ পড়া, ইনজুরি বাল লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, ওসব পরবর্তী সময়ে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া।


হাঁটুর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার :


হাঁটুর ব্যথা অনেকের সাধারণ একটি সমস্যা। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে এবং সঠিক কারণ জানলে পত্রিকার করা সহজ হয় । হাঁটুর বাচ্চা সাধারণ  কারণ গলো যেমন-শরীরের ওজন বেড়ে গিয়ে হাটুর উপর চাপ পড়ে, বয়সজনিত বা প্রবাহ জনিত কারণে হাঁটুর জয়েন্ট ক্ষয় হয়।

হাঁটুর প্রতিকার গুলো হল যেমন-ব্যক্তি ওজন কমালে হাঁটুর উপর চাপ কমবে, আঘাতের পরে ঠান্ডা সেক, হাত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার গরম শেখ উপকারী। দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। দুধ, মাছ ,ডিম ,শাকসবজি ,হলুদ , ইত্যাদি খাবার খেলে আদা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। 


হাঁটুর জয়েন ব্যথা কেন হয় :


হাঁটুর জয়েন ব্যথা গুলো কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় আর এগুলো বুঝলে প্রতিকার করার সহজ হয় যেমন- বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাঁটুর ক্যাটি লেজ ক্ষয়ে যায়, এতে হার একে অপরের সাথে ঘষা খেয়ে ব্যথা ও ফোলা শুরু হয়। খেলাধুলায় বা দুর ঘটনায় লিগামেন্ট ছেড়ে যাওয়া। এগুলো থেকে জয়েন ব্যথা হয় 

হাঁটুর জয়েন্ট এ ব্যাকটেরিয়া ঢুকলে সেপটিক অ্যাথাইটিক হয়। এতে প্রচন্ড ব্যথা ও ফোলা এবং লালছে  ভাব দেখা যায়। হাঁটুর ব্যথা সাধারণত বয়স জনিত ক্ষয়, প্রদাহ, আঘাত, ওজন বেশি হওয়া ও হাড় দুর্বলতা থেকে হয়ে থাকে। 


হাঁটুর ব্যথা ছাড়ানোর ওষুধ :


হাঁটুর ব্যথা সম্পন্ন সারানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই, কারন ব্যথা কারণ ও ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা ভিন্ন ধরনের হয়। তবে সাধারণত ডাক্তাররা কিছু ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে যেমন- ব্যথা নাশক ওষুধ Ibuprofen, Naproxen, Diclofenac → প্রদাহ ও ব্যথা কমায়।

Corticosteroid ইনজেকশন – সরাসরি হাঁটুর জয়েন্টে দিয়ে প্রদাহ কমানো হয়। তাই দীর্ঘদিন ব্যাথা থাকলে নিজের ডিসি শুনে ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে তাই সঠিক হল আমার একটা অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চেকআপ করিয়ে নিবেন। 


হাঁটুর জয়েন্ট ব্যাথা ওষুধের নাম :


হাঁটুর জয়েন্ট ব্যথার ওষুধ কোন কারণে ব্যথা হচ্ছে (আর্থ্রাইটিস, আঘাত, ইউরিক এসিড, বয়সজনিত ক্ষয় ইত্যাদি) তার উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে ডাক্তাররা নিচের ওষুধগুলো ব্যবহার করে থাকেন যেমন- হালকা ব্যথার জন্য (Painkillers), প্রদাহ ও মাঝারি তীব্র ব্যথার জন্য Ibuprofen (400mg / 600mg),Naproxen (250mg / 500mg),Diclofenac (50mg / 75mg / জেল/স্প্রে আকারেও পাওয়া যায়।

সব ওষুধ সবার জন্য নয় কারন কিডনি ,লিভার, গ্যাস্ট্রিক ও হার্ড সমস্যা থাকলে এসব ওষুধ খাওয়া জকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সবসময় অর্থোপেডিক ডাক্তার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ র পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন। 


হাঁটুর ব্যথা : কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা :


হাঁটুর ব্যথা (Knee Pain) একটি সাধারণ সমস্যা, যা তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষেরই হতে পারে। এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা জানা থাকলে প্রতিকার সহজ হয়। হাঁটুর ব্যথার কারণ বয়স জনিত ক্ষয়,রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস,
গাউট, ইন জুরির আঘাত, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি। 

হাঁটুর ব্যথার লক্ষণ শান্ত হাঁটতে ও দাঁড়াতে ব্যথা হয়। সিঁড়িতে ওঠা নামার সময় প্রচন্ড ব্যথা হয়। দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর দাঁড়ালে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। হাঁটুর ব্যথা চিকিৎসা যেমন-ওজন কমানো, ব্যায়াম করা, ও সঠিক ভঙ্গিতে বসা, এবং গরম ও ঠান্ডা সেক দেওয়া। 


বৃদ্ধ বয়সে হাঁটুর ব্যথা কিভাবে পরিচালনা করবেন :


বৃদ্ধ বয়সে হাঁটুর ব্যথা (Osteoarthritis বা বয়সজনিত জয়েন্ট ক্ষয়) খুব সাধারণ একটি সমস্যা। একে পুরোপুরি সারানো সবসময় সম্ভব হয় না, তবে সঠিক যত্ন নিলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।


 বৃদ্ধ বয়সে হাঁটুর ব্যথার পরিচালনার উপায় যেমন- ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, বেশি ওজন হাটুর উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটা হাঁটি কমিয়ে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেওয়া।হালকা ব্যায়াম ও ফিজিওথেরাপ  চিকিৎসা নেওয়া। প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া, হাটাহাটি করার সময় লাঠি বা ওয়াকিং ইস্টিক ব্যবহার করা।


হাঁটুর ব্যথা সাড়ানোর শেষ কথা :


হাঁটুর ব্যথা অনেক সময় আমাদের জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্মকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি আরও প্রকট হয়। তাই এই ব্যথা সাড়ানোর জন্য অতৃপ্ত ওজন কমানো হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। দুধ, ডিম ,শাকসবজি, বাদাম, রসুন ও ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার সেবন করতে হবে। 

তবে শেষ কথা হলো হাঁটু ব্যথা সাড়ানোর কোন ম্যাজিক ওষুধ নেই। তবে সঠিকভাবে পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে হাঁটুর ব্যথার নিয়ন্ত্রণ রাখা ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব। 















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন