গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থায় আরো বেশি সতর্ক থাকতে হয়।
কারণ তখন নিজের সঙ্গে আরো একজনের দায়িত্ব নিতে হয়। একটি প্রাণ নিজের ভেতরে বড়
করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা কোন সহজ কথা নয়।
সেজন্য একজন হবু মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। কোন খাবারটি খেলে উপকার হবে আর
কোনটি ক্ষতিকর জেনে তারপর খেতে হয়। গর্ভাবস্থায় একটি ফল আপনার জন্য
উপকারী হতে পারে আর সেটি হল কলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার
উপকারিতা।
পেজ সূচিপত্র: কলার পুষ্টির গুণাবলী
কলার পুষ্টির গুণাবলী
কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পূর্ণ দেশ
সমূহে কলা ভালো জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলার উৎপাদন স্থল হিসেবে
পরিগণিত। বাংলাদেশ সহ পৃথিবী বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল। কলায় অনেক
পটাশিয়াম রয়েছে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
আরো পড়ুন:গরু মোটাতাজাকরন দানাদার খাদ্য তালিকা
তাছাড়াও কলার ভিটামিন বি৬ স্নায়ু বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া অপরাধে রয়েছে
ফাইবার শর্করা যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলায় ফোলেট রয়েছে
যা জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলাতে
রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ তাই গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
মর্নিং সিকনেসও দূর করে কলা
মাথা ব্যথা এসিডিটি ইত্যাদি নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা নিশ্চয়ই কষ্টকর। তাই সতেজ এবং
সুস্থ বোধ করার জন্য অবশ্যই এসব লক্ষণ কমানোর উপায় সন্ধান করতে হবে। বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের মতে কলাই ভিটামিন বি তে পরিপূর্ণ যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে
প্রাথমিকভাবে বমি রোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় কলা যোগ
করলে তা মর্নিং সিকনেসও কমাতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিনিয়ত গর্ব অবস্থায় কলা
খাওয়া অনেক উপকারী।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ এড়াতে পরিমিত পরিমাণে কলা খান। তাছাড়াও রক্তে
শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে কলার সাথে প্রোটিনের উচ্চ যেমন দই বা বাদাম
খান। পেশীতে টান এবং পায়ে ব্যথা গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন অস্বস্তিকর কারণ। কলা
ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় পেশীতে টানের ফিকোয়েন্সি এবং
তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।
কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে,
যা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই
রক্তচাপের ওঠা নামও হয় যা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এড়ানো যায়।
তাই এদিকে খেয়াল রাখুন, উপকারী ফল কলা এ সময় আপনার খাবারের অংশ করে নিন। উচ্চ
পটাশিয়াম মাত্রার কারণে কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় যখন
গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় তখন এটি বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।
কলা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে
আয়রনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। আর সেখানে কলা
কাজ আসে, কলাই প্রচুর আয়রন থাকায় তা শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি
খাদ্যে প্রাকৃতিক আয়রন সম্পর্ক হিসেবে কাজ করে তাই কলা খাবেন প্রতিদিন।
এজন্যই গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গর্ভবস্থায় ক্লান্তি বোধ করার
সাধারণ। কলায় প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট থাকে যা দ্রুত এবং টেকসই শক্তি সরবরাহ
করে,তাই কলা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক উপকারী।
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে
কলায় ফোলেট এবং ভিটামিন বি উভয়ই থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু বিকাশের
জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে ফোলেট ঘাটতি নিউরাল টিউব
ত্রুটির কারণ হতে পারে, যা প্রসব পূর্ব খাদ্য তালিকার কলা কে একটি বুদ্ধিমানের
সংযোজন করে তোলে।
আরো পড়ুন:বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা
তাছাড়াও ভিটামিন বি আয়রন এবং ফলিক এসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের বিবাহের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। উপকারী ফল কলায় এই সবগুলোই পাওয়া যায়। তাই এই
ফল আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন এবং সন্তানের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে
সহায়তা করুন।
কলা বুক জ্বালাপোড়া কমায়
গর্ভাবস্থায় অনেকেরই বুক জ্বলা পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও এই ধরনের
উপসর্গ সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায় না, তবে কলা খেলে তা খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীতে
অমৃতার মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। তাই গর্ভাবস্থায় এ
ধরনের সমস্যা কমাতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
তাছাড়া গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ
সমস্যার সৃষ্টি করে। গলায় থাকা খাদ্য তালিকা গত ফাইবার যা অন্ত্রের গতিবিধি
উন্নত করতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি উন্নত করে। তাই গর্ভাবস্থায়
প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
লেখকের শেষ মন্তব্যে
কলা গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় সকলের অসুস্থতা দূর করে থাকে শুরু করে বিকাশের
সহায়তা করা পর্যন্ত অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে পারে। কলা গর্ভাবস্থায়
গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। তাই গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় কলা রাখা অবশ্যই। আর আমার
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও
আত্মীয় স্বজনের কাছে এটি শেয়ার করে দিন। তাছাড়াও আমার এই ওয়েবসাইটটি
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো
লেগেছে। আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।