গরু মোটাতাজাকরন দানাদার খাদ্য তালিকা

গরু মোটাতাজাকরণ দানাদার খাদ্য তালিকার প্রকল্প শুরু করে আপনি নিজেকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারেন, হতে পারেন একজন সফল উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প খুবই লাভজনক একটি পেশা। কিন্তু গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের সফলতা নির্ভর করে গরুর সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনার ওপর যা অনেকেরই অজানা।

গরু মোটাতাজাকরন দানাদার খাদ্য তালিকা

বাংলাদেশে মাংসের মোট চাহিদার দশ ভাগ পূরণ হয় পশু সম্পদ থেকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ খামার ব্যবস্থাপনা অপার সম্ভাবনময় কর্মসংস্থান। গরু মোটাতাজাকরণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ পূর্ব বাণিজ্যিকভাবে বৃহৎ আকারে কিংবা বসতবাড়িতেও দুই একটি গরু নিয়ে ছোট পরিসরে যে কেউ শুরু করতে পারে এই প্রকল্প। 

পেজ সূচিপত্র: গরু মোটাতাজাকরণ একটি লাভজনক প্রকল্প


গরু মোটাতাজাকরণ একটি লাভজনক প্রকল্প 

বাংলাদেশের আবহাওয়া যেকোনো সময় গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে। তবে চাহিদা কথা বিবেচনা করে অধিকাংশ খামারিরা পবিত্র ঈদুল আযহার সময় এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেন।  বাড়ন্ত এড়ে বাছুর বা এড়ে গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ করে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে ওই গরুর শরীরে অধিক পরিমাণ মাংস বৃদ্ধি করে অধিক লাভে বাজারে বিক্রি করার প্রক্রিয়াকেই গরু মোটাতাজাকরণ বলে।


গরু মোটাতাজাকরণ আমাদের দেশে বর্তমানে একটি আধুনিক লাভজনক প্রকল্প। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে অতি প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামের ঘরে ঘরে গুরু পালনের প্রচলন থাকলেও বর্তমানে শহরের উচ্চ শিক্ষিত যুবকরাও গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য দেশি জাতের এড়ে, শাহীওয়াল শংকর ও ফিজিয়ান সংকর জাতের এড়ে গরু ক্রয় করে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে।

গরু মোটাতাজাকরণ করার পদ্ধতি 

গরু মোটাতাজাকরণ করার পদ্ধতি জন্য গরু জাত বাছাই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উন্নত দেশে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য বিশেষ মাংসলা জাতের গরু নির্বাচন করা হয়। বিদেশি মাংস উৎপাদনকারী জাতের গরু যেমন-বাহমান, স্টোন, এবারডিন, বীফ মাস্টার, হেরিফোড, ডেভন, ডেস্টার ইত্যাদি। তবে এসব জাতের গরু বাংলাদেশে নেই। যেহেতু আমার দেশে মাংসের জন্য পৃথক কোন জাত নেই তাই দেশে প্রাপ্ত গরু বাছুর বা সংকর জাতের গরুর নীজ গুণাবলী বিশেষভাবে মূল্যায়ন শেষে প্রকল্পের জন্য বাছাই করা উচিত।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য দেশি জাতের এড়ে, শাহীওয়াল শংকর ও ফিজিয়ান সংকর জাতের এরে গরু ক্ষয় করে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য বাছাইকৃত গরুর অবৈশিক বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
  1. গরুটির পূর্বের বংশ ভালো কিনা তা জেনে নিতে হবে।
  2. মাথা ও গলা খাটো এবং চওড়া হতে হবে। 
  3. কপাল প্রশস্ত হওয়া আবশ্যক। 
  4. গায়ের চামড়া ঢিলে ঢালা হওয়া উচিত। 
  5. পিঠ চ্যাপ্টা এবং অনেকটা সমতল। 
  6. বুক প্রশস্ত ও বিস্তৃত হতে হবে। 
  7. শরীরে হাড়ের আকার মোটা হতে হবে। 
  8. সামনের পা দুটো খাটো ও শক্ত সামর্থ্য হতে হবে। 
  9. মোটা দাদা পরানের জন্য গরু এড়ে/বলদ হওয়া বাঞ্চুনীয়।
  10. লেজ খাটো হতে হবে। 
  11. স্বাভাবিকভাবে পশুটি শারীরিক রোগ ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। 
  12. বদমেজাজি গরু কয় করা থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এসব গরু পরিচর্যায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং খামারের অন্যান্য গরু সমস্যা সৃষ্টি করে। 


গরুর সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা করা 

গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প কিংবা যে কোন পশু পালনে সফলতার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা। নিচে গরুর খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সুষম খাদ্য সরবরাহ পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং উৎপাদন ভিত্তিতে গরুর জন্য সরবাহকৃত খাদ্যে সকল প্রকার পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকতে হবে। তাই অসুখে যে সকল খাদ্য সহজে হজম হয় সে সকল খাদ্য উপকরণ সরবরাহ করা উচিত। পশুকে কোন অবস্থাতেই মিশ্রিত খাবার পচা, বাঁশি করে সরবরাহ করা উচিত নয়। এসব খাবারের ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে এবং ওই খাদ্য খেলে পশুর নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। গরুর পছন্দনীয় খাবার সরবরাহ যেমন যে সকল খাবার গরু আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করে সে সকল খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। 

খাদ্য প্রস্তুতির খরচ বেড়ে গেলে গরু উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, তাই খাদ্য প্রস্তুতির খরচ কমাতে মৌসুম ভিত্তিক খাদ্য ক্রয় ও মজুদ করনের মাধ্যমে খাদ্য মূল্য কমতে পারেন। কিছু খাদ্য আছে যা সারা বছর পাওয়া যায় না সেগুলো মৌসুমে মজুদ করলে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। বিশেষ করে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে সফল হতে অবশ্যই খাদ্য মজুদ করতে হবে অন্যথায় গরুর খাবারের খরচ অনেক বেড়ে যাবে যেমন-ঘাস, খর, খৈল, ডালের ভুষি ইত্যাদি। নিচে গো-খাদ্য মজুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিপিবদ্ধ করা হলো: 

খাদ্য মজুদ এর ঘর অবশ্যই মাথাযুক্ত হতে হবে।
কুড়া দুই মাসের বেশি মজুদ করলে ছত্রাক করা সম্ভব না থাকে, তাই প্রতি দুই মাস পরপর ওরা মজুত করা যেতে পারে।
ডাল/কালায়ের ভূষি চার মাস পর্যন্ত মজুদ করা যায়। 
খৈল মজুদের ক্ষেত্রে খৈলকে ভাঙ্গিয়ে না দেখে আস্ত রাখতে হবে, আস্তকুল এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণে রাখা যায়। 
ঝিনুকের গুড়া বছর কাল সংরক্ষণ করা যায়। 
মজুদকৃত খাদ্য যেন বৃষ্টির পানিতে না ভিজে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
গুড়া জাতীয় খাদ্য মজুদের সময় বস্তার ভেতর শুকনা নিমের পাতা দিয়ে রাখলে পোকা ধরবে না।

গরু মোটাতাজাকরণ দানাদার খাদ্য তালিকা 

চালের গুড়া, গমের ভুসি, চালের খুদি, খৈল, কালাই, মটর, খেসারি ইত্যাদি গরুর দানাদার খাদ্য। গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে গরুকে দানাদার খাদ্য সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা অনেক। নিচে গো খাদ্যের বিভিন্ন উপাদানের শতকরা হার নির্দেশ করে গরু মোটাতাজাকরণ দানাদার খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা হলো: 
খাদ্য উপাদান শতকরা হার
গমের ভুষি 50%
চালের কুড়া (তুষ ছাড়া) 24%
খৈল 15%
কালাই বা ছোলা ভাংগা 10%
চালের খুদি 10%
ডিসিপি 0.5%
লবন 0.5%
সর্বমোট = 100%

গরুর দানাদার খাবার তৈরীর নিয়ম 

গো খাদ্যের সকল পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে এবং খাবারের অপচয় রোধ করতে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে গরুর দানাদার খাবার তৈরি করা উচিত। নিচে এক কেজি সুসুম দানাদার খাদ্য তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করা হলো: 


খাদ্য উপাদান শতকরা হার
গমের ভুষি ২৫০ গ্রাম
চালের কুড়া (তুষ ছাড়া) ১৫০ গ্রাম
তিল/সয়াবিন/নারিকেল/সরিষার খৈল ২০০ গ্রাম
চালের খুদি ১৫০ গ্রাম
কালাই বা ছোলা ভাংগা ২০০ গ্রাম
ডিসিপি ২৫ গ্রাম
লবন ২০ গ্রাম
ভিটামিন ০৫ গ্রাম
সর্বমোট = ০১ কেজি

ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা 

গরু মোটাতাজাকরণের জন্য গরুর ওজন অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য গরুকে প্রতিদিন নিম্নে বর্ণিত হারে খাদ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন: 
১০০ কেজির কম ওজনের গরুর জন্য রোকিয়াজাতখোর ২ কেজি, দাদার সুষম খাদ্য ২.৫-৩ কেজি এবং সবুজ ঘাস ৪-৫ কেজি খাবার খাওয়াতে হবে। তাছাড়া ১০০-১৫০ কেজি ওজনের গরুর জন্য প্রক্রিয়াজাত খর ৩ কেজি দানাদার সুষম খাদ্য ৩.০-৩.৫ কেজি এবং সবুজ ঘাস ৭-৮ কেজি খাওয়াতে হবে। 

এছাড়াও ১৫০+ওজনের গরুর জন্য প্রক্রিয়াজাত খড় ৪ কেজি দানাদার সুষম খাদ্য ৪.০-৪.৫ কেজি এবং সবুজ ঘাস ৮-১২ কেজি খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গরুকে দৈনিক ২০০ গ্রাম, ১০০-১৫০ কেজির গরুর জন্য ২৫০ গ্রাম,১৫০+কেজি ওজনের গরুর জন্য ৩০০-৪০০ গ্রাম ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক খাওয়াতে হবে। আর উল্লেখিত খাদ্য তালিকা আগে দুই ভাগ করে সকালে অর্ধেক এবং বিকালে অর্ধেক খাওয়াতে হবে। অবসর সময়ে গরুকে কাঁচা ঘাস ও প্রক্রিয়াজাত খর দিতে হবে। 

গরুর দানাদার খাদ্যের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ 

গরু দানাদার খাদ্যের সুবিধা রয়েছে আবার অসুবিধা রয়েছে, আসুন সেই সুবিধাগুলো আমরা জেনে নেই। পুষ্টির সরবরাহ করার জন্য এই দানাদার খাবার গরুর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেয়। এই পুষ্টির কারণে অনেক গুণ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং গরুর মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। যদি কোন ঘাটতির অভাবে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে ভিটামিন কোনটা প্রয়োজন কোনটা বেশি যুক্ত করতে হবে সেটা খেয়াল রেখে আপনারা যে কোন একটি উপাদান কম বেশি করে খাওয়াতে পারেন। দানাদার খাদ্য খাওয়ানোর ফলে সময়ের ব্যয় কম হয় ফলে গরুকে খাদ্য গ্রহণের জন্য পরিশ্রম কম লাগে। দানাদার খাদ্য যেহেতু গরু ভালোভাবে খায় নষ্ট হয় না, তাই গরুর খাবার বারবার পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না এবং সময় বেঁচে যায়।


এবার আসুন আমরা দানাদার খাদ্যের অসুবিধা গুলো জেনে নিই। হঠাৎ করে গরুকে দানাদার খাবার দিলে গরুর হজম শক্তিতে সমস্যা হতে পারে। একে গুরু একেক রকম খাবার খেয়ে অভ্যস্ত তাই গরুকে তার চাহিদা ও শারীরিক সমস্যার উপরে নির্ভর করে দানাদার খাদ্য খেতে দিতে হবে। দাদার খাদ্য অনেক সময় বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যায় না। তখন সে ক্ষেত্রে কাদের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য দাদার খাদ্য তৈরি করার যে উপাদান গুলো লাগবে সেগুলো সঠিকভাবে পাওয়া যায় না এতে সময় বেশি লাগে। বৃষ্টির পানি, বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ইত্যাদির কারণে খাবার সংরক্ষন বিশেষ দিন সম্ভব হয় না এতে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

গরু মোটাতাজাকরণ ওষুধের নাম 

অনেক সময় দেখা যায় আপনারা অনেকেই শুকনো হাড্ডি-ওয়ালা গরু বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসে। সে ক্ষেত্রে আপনারা চান রোগা গরুটাকে মোটা তাজা করতে। আপনি যদি এরকম কোন ব্যবসা করে থাকেন যে একটা হাড্ডি ষাঁড় গরুকে নিয়ে আসেন মোটাতাজা করে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে, তবে আপনি গরু মোটাতাজা করুন ওষুধের নাম অনুযায়ী খাওয়াতে পারেন। আপনি যদি নতুন একটা গরু বাজার থেকে নিয়ে আসেন তাহলে অবশ্যই মোটা তাজা করার ওষুধ খাওয়ানোর আগে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

কারণ গরুর কৃমি সমস্যা থাকলে কখনোই মোটা তাজা হবে না। গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধের নাম গুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
  1. ক্যালসিয়াম 
  2. লিভার টনিক 
  3. জিংক 
  4. ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
  5. রেনাসোল এডি ৩
  6. ক্যাটোফস ইনজেকশন 
  7. এমআই নোভিট প্লাস 
উপরোক্ত যে ওষুধের নামগুলো বলা হয়েছে সেগুলো আপনারা গরুকে মোটা তাজা করনের জন্য খাওয়াতে পারে। যদি আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপলক্ষে ওষুধ সেবন করাবেন। 

তিন মাসে গরু মোটাতাজাকরণ 

গরু অনেকে শখের বসে পালন করে থাকে। আবার অনেকে খামার দিয়ে পালন করে থাকে। এটি একটি ব্যবসার মতো করে অনেকে পালন করে থাকে। আপনারা যারা তিন মাসে গরু বিক্রি করে দিতে চান তাদের ক্ষেত্রে তিন মাসের যে লালন পালন করে গরু বড় করতে হবে তার একটি খাবারের নিয়ম রয়েছে। সে অনুযায়ীগুলোকে খাওয়ালে বিক্রি করার সময় লাভ পাওয়া যায়। যদি আপনি এভাবে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে ভালো লাভ পাবেন। তাই যদি গরু পালন করা আপনার ব্যবসা হয়, তবে অবশ্যই খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে এবং ওষুধের দিকেও।

আপনি তিন মাস গরু লালন পালন করে বিক্রি করলে ভালো লাভ পাবেন। আসুন আমরা জেনে নেই তিন মাসে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায় কিভাবে। 
  1. রুচির ওষুধ 
  2. জিংক সিরাপ 
  3. ভিটামিন বি কমপ্লেক্স 
  4. ক্যাটু ফস 
  5. এডি ভেট 
  6. এমাইনোভিট প্লাস ইঞ্জেকশন 
  7. এমাইনোভিট প্লাস ভেট 
  8. নাইট্রোনেক্স ইনজেকশন ইত্যাদি। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

শুধু গরু পালন করলে হবে না, অনেকে গরুর প্রতি খেয়াল না দেখে শুধু বেঁধে দেখে খাবার দিলেই মনে করে যে হ্যাঁ গরুর যত্ন হচ্ছে। কিন্তু গরুর স্বাস্থ্য ও খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মোটা তাজা করুন দাদার খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার দিতে হবে এবং গরুর অনেক ওষুধ আছে সেগুলো সঠিকভাবে দিতে হবে।। যদি ওষুধের নিয়ম বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ দিবেন। 

আশা করি আমার আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। তাহলে আপনারা আপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর আমার এই ওয়েবসাইটটি আপনারা সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন