সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন কি ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সেই সাথে সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি সজনে পাতা থেকে উপকার পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়গুলো জানা উচিত।

আমরা অনেকেই সজনে পাতা খেয়ে থাকি তবে খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানি না। তাই আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জেনে নিন সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

• সজনে পাতার বিস্ময়কর ১০ টি কার্যকরী উপকারিতা 
• সজনে পাতার বহুমুখী ব্যবহার 
• সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সজনে ডাটা খাওয়ার উপকারিতা 
• সজনে পাতার ঔষধি গুণাগুণ 
• সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম 
• সজনে পাতার অপকারিতা
• সজনে পাতার গুড়া খেলে কি ওজন কমে 
• সজনে পাতার রস চুলে দিলে কি হয় 
• লেখকের শেষ মন্তব্য 

সজনে পাতার উপকারিতা অনেক। আচ্ছা বলুন তো আমরা যদি এমন কোন খাবার পেতাম যার ভেতরে রয়েছে কমলা থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, গাজরের থেকে ১০ গুণ ভিটামিন, কলার চেয়ে রয়েছে ১৫ গুণ অধিক পটাশিয়াম এছাড়াও দুধের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম রয়েছে তার থেকে বেশি ১৭ গুন ক্যালসিয়াম। এমন খাবার কি পাওয়া আসলেই সম্ভব? জি সম্ভব টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আজকে আমরা কি নিয়ে কথা বলব। হ্যাঁ আজকে আমরা আলোচনা করব খোঁজ নিয়ে পাতার বিস্ময়কর দশটি উপকারিতা সম্পর্কে। স্থান ভেদে সজনে কে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, সজনে গাছকে কেউ চিনেন সজিনা গাছ হিসেবে আবার কেউ ছুটির গাছ ও বলে থাকে। সজনে গাছের ফলকে আমরা সজনে ডাটা হিসেবে চিনি। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি সবজি। মানব শরীরের জন্য যে সকল উপাদান প্রয়োজন তার সবকিছুই শরীরে পাতার মধ্যে রয়েছে। সেজন্য সজনে পাতা কে সুপার ফুড বিবেচনা করা হয়।

তাহলে চলুন এখন দেখে নেওয়া যাক সজনে পাতার নানাবিধ উপকারিতা-

1. সজনে পাতার রস করে এর সাথে লবণ মিশিয়ে খেলে শিশুদের পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর হয় এবং হজমে ও সাহায্য করে। 
2. সজনে পাতার শাক রান্না করে খেলে সর্দি জ্বর দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্ষতস্থানে সজনে পাতার পেস্ট লাগিয়ে রাখলে অনেক দ্রুত ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়। 
3. পোকামাকড় কামড় দিলে অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে সজনে পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
4. যারা হাঁপানি রোগী রয়েছেন সজনে পাতার রস তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।
5. সজনে পাতার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের সমস্যা দূর করে চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।
6. শরীরে পাতার মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের সুরক্ষা এবং হাড়ের গঠনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। 
7. আপনি যদি ব্লাড প্রেশারের একজন রোগী হয়ে থাকেন তাহলে সজনে হতে পারে একটি সুপার ফুড। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সজনে পাতার জুড়ি মেলা ভার। 
8. রক্ত পরিষ্কার করতে সজনে ডাটার জুরি মেলা ভার। এটি আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে চেহারা উজ্জ্বল করে। 
9. আপনি যদি নিয়মিত সজনে পাতার গুড়া খান তাহলে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। 
10. অনেক সময় সত্য জন্মানো শিশু মায়ের বুকের দুধ ঠিকমতো পায় না। তাই সুপার ফুড সজনে পাতা নিয়মিত খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

যেহেতু সজনে পাতা নিয়ে আলোচনা করছি তাই আমাদের সজনে পাতার বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে জানা জরুরি। সজনে ওষুধ গুন সম্পূর্ণ এমন একটি গাছ যা সারা বছর ফলন দিয়ে থাকে এবং বাড়ির আঙিনাতে জন্মানো এই ওষুধি গুণসম্পন্ন গাছটিকে মাল্টিভিটামিন বৃক্ষ ও বলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়াতে সজনে উৎপত্তি হয় এবং এটি শীত প্রধান দেশ বাদে প্রায় সব দেশেই জন্মানো একটি গাছ। গ্রীষ্ম মন্ডলী যে সকল অঞ্চল রয়েছে বিশেষ করে সেসব অঞ্চলে সজনে চাষ বেশি হয়। সজনে পাতায় ঔষধি গুন এবং পুষ্টিগুণ দুটাই বিদ্যমান থাকায় সজিনাকে "পুষ্টির ডিনামাইট" হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন:গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

সজনের ডাটার চেয়ে এর পাতাতে রয়েছে দ্বিগুণ গুনাগুণ। সজনের পাতার মধ্যে নয় ধরনের অ্যামিনো এসিড রয়েছে আরো রয়েছে ৩৮ শতাংশ আমিষ। এছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং সজনে ডাটার মধ্যে প্রোটিন এবং ওমেগা ৩ ভিটামিন বিদ্যমান। পরিপক্ক সজিনার বীজ থেকে উদ্ভিজ তেল পাওয়া যায়। যা মেশিনে এবং বাসায় রান্নার কাজেও ব্যবহার করা হয়। সজিনার ২০ থেকে যে আমিষ পাওয়া যায় তা ব্যাকটেরিয়া জমা বাধা দূর করে। এছাড়াও সজনের বীজের 

গুঁড়ো করা পাউডার পানীয় জল বিশুদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।

সুস্বাদু পুষ্টিকর সজনে ডাটা খাওয়ার উপকারিতা অনেকের অজানা। সজনে পাতার উপকারিতা যেমন রয়েছে ডাটা খাওয়ার উপকারিতা ও অপরিসীম। সজনে ডাটা শুধুমাত্র যে খেতে সুস্বাদু তা নয় বরং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। প্রচুর পুষ্টি গুণে ভরপুর এই সবজি হল সজনে ডাটা। এটি মাছের ঝোল আলুর ঝোল অথবা ডালের সাথে রান্না করা হয়। সজনে ডাটাকে খনিজ পদার্থের শক্তি আধার বলা হয়ে থাকে। 

তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুপার ফুড সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সজনে ডাটার উপকারিতা গুলো-

হাড়ের ক্ষয় রোধ করে শক্তি বাড়াতে সজনে ডাটা অনেক উপকারী। 

1. সুজনের ডাটার মধ্যে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা অ্যালর্জি দূর করতে সাহায্য করে। 
2. শরীরের আঠা ত্বকের ফাঙ্গাস জনিত ইনফেকশন এর সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকরী।
3. আমাদের মুখের অরুচি দূর করতে সজনে ডাটা অনবদ্য ভূমিকা পালন করে।
4. অনেক সময় দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া অথবা মালিক ভুলে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে শরীরে রাখা অথবা পাতা তাদের যেকোন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। 
5. এই ডাটায় রয়েছে প্রচুর গ্লুকোজ ও জল যা আমাদের দেহ শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে।
6. রক্ত পরিষ্কার করতে সজনে রাখা জুরি মেলা ভার। এটি আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে চেহারা উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। 

সজনে পাতা শুধু খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় না এতে ওষুধি গুণাগুণ ও বিদ্যমান। সজনে এমন একটি গাছ যার আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সকল কিছু ঔষধি গুণে ভরপুর। সজনের ফুল, ফল, পাতা, শেখর বাকর,বীজ এমনকি সজনে গাছ থেকে যে আঠা পাওয়া যায় তা বিভিন্ন রোগের প্রতিশোধ হিসেবে কাজ করে। সজনে গাছের ডাল বা পাতা বছরের মধ্যে সাতবার কাটা যায়। ভারতের আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য থেকে জানা যায়, রাইটিং ছোট রকমের রোগ ব্যাধি থেকে সজনে গাছ মানুষকে রক্ষা করে এবং আধুনিক বিজ্ঞান ও এই মতামতকে সমর্থন করে থাকে। 

আরো পড়ুন:সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সজিনার ঔষধি গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না এটি আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসা ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সজিনা গাছের শুকনো পাতার মধ্যে রয়েছে কমলা থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি। এছাড়াও ফজরের থেকে ১০ গুন ভিটামিন, কলা খেয়ে রয়েছে 15 গুণ অধিক পটাশিয়াম তাছাড়াও দুধের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম রয়েছে তার থেকে বেশি ১৭ গুণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় এই সজনে থেকে। 

সজনে গাছের ডাটা বা ফুল অথবা সজনে পাতা আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। তাই সজনে পাতা খাচ্ছেন, না নাকি ফুল খাচ্ছেন, নাকি ফল খাচ্ছে সেটি দেখার বিষয় না। ফুল ফল পাতা জিটি পাবেন সিটি খান না কেন সমান উপকারিতা পাবেন। শুনে গাছ আপনি বাড়িতে অতি সহজে কম খরচে লাগাতে পারেন। তবে যাদের বাসায় গাছ নাই তারা বাজারে শুকনো পাতা বা সজনে পাতার পাউডার বা মরিঙ্গা পাউডার বাজারে অ্যাভেলেবেল পাবেন।

এই সজনে পাতা বা মরিঙ্গা পাউডার ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল রুপেও পাওয়া যায়।

আমাদের দেশে সজনের পাতা বা সজনে র ডাটা রান্না করে খাওয়া হয়। কেউ কেউ সজনে পাতা গুঁড়ো করে বা পাউডার বানিয়ে খায়। এছাড়াও বিভিন্নভাবে শরীরে পাতার খাওয়া যেতে পারে যেমন ভাজি করে সজনে পাতা খেতে পারে অথবা যেকোনো ধরনের সাকের সাথে মিশিয়ে খেতে পারে। এছাড়া সজনে পাতা আপনি বেটে নিয়ে ডালের সাথে মিশিয়ে বড়া বানিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া সজনে পাতা গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা অথবা শরবত বানিয়ে খেলে ভালো উপকার পাবেন।

যেহেতু আজকের আলোচনার বিষয় সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা। তাই আমাদের সজনে পাতার উপকারিতার পাশাপাশি সজনে পাতার অপকারিতা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। অনেক সময় আমরা যেকোনো খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেই এটি খাওয়া শুরু করি কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে খাবারের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপরিয়তাও থাকে। যদি আপনি সজনে পাতার অপকারিতা সম্পর্কে না জানেন তাহলে এটি বেশ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বুঝলে পাতা গুড়ো খাওয়া নিরাপদ হল কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। যদি সজনে পাতার অপকার সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে জেনে নিন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। শরীরের পুষ্টি উপাদানের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনের প্রণয় যে কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অনিয়মিত সজনে পাতাগুলো আপনার শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সজনে পাতা খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিবে যেমন-

1. যদি কেউ প্রয়োজনে তুলনায় বেশি শরীরে পাতা খান তবে বমি বমি ভাব ক্ষুধা মন্দায় এমনকি পেটে সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
2. গর্ভবতী নারীদের জন্য সজনে পাতা খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কেননা গর্ভবস্থায় এটি প্রজনন বিরোধী হতে পারে। প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম ও আরো চাহিদা পূরণ করতে যথেষ্ট কার্যকরী। 
3. যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন সজনে পাতার রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
4. রক্তচাপ কমাতে সজনে পাতা ব্যবহার করা হলেও আপনি যদি এটি রক্তচাপ কমানোর ওষুধের সাথে মিশিয়ে খান তবে রক্তচাপের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে। 
5. পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম বলেন যারা কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের সজনে পাতা না খাওয়াই ভালো।তবে সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষ এর জন্য কিডনি সুরক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে সজনে বেশ উপকারী।

সতর্কতা: 

সজনীর মূল বিষাক্ত হয়, যা স্নায়ুতন্ত্র কে অবশ করে দেয়। তাই খাবার ক্ষেত্রে শরীরের মূল বর্জন করাই ভালো। সজনের গাছের বীজ রাবির এবং মাছের জন্য ক্ষতিকর তাই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

সজনে পাতার গুড়া ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, 

যা অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে পারে। এছাড়াও সজনে পাতার গুঁড়ো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

শরীরে পাতার রস চুলে ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায়। সজনে পাতার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই আছে পাশাপাশি আয়রন এবং জিংক রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়ক। 

সজনে পাতার রস চুলে লাগালে এতে খুশকি কমাতে, চুলের শুষ্কতা দূর করতে এবং চুলের আগা ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  এর গুণাগুন ফুলের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং অকালে চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে।

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে শরীরে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া সজনে পাতার খাওয়া সঠিক নিয়ম এবং সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আজকে আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ার করে দিন। তাছাড়াও আমার এই ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।