১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস

১০০ লেয়ার মুরগি পালনের পদ্ধতি

১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস ও দেশি মুরগি পালনের লাভ ক্ষতি কেমন হতে পারে চলুন জেনে নি। মুরগি সম্পর্কে সকল ধরনের নতুন নতুন তথ্য পেতে হলে আমাদের সাথে থাকুন তাহলে আপনি সবকিছু বুঝতে পারবেন। মুরগি পালনে অনেক লাভ ক্ষতি হয়ে থাকে। 

এই পোস্টের সাথে মুরগির সম্পর্ক নিয়ে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। সেই পয়েন্ট গুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন আশা করি তাহলে আপনি মুরগি পালন সম্পর্কে সকল বিষয়ে গুলো বুঝতে পারবেন। এছাড়াও আপনি মুরগি পালন সম্পর্কে লাভ ক্ষতি বুঝতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্র:১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস

১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস 
মুরগি সম্পর্কে কিছু তথ্য বিশ্লেষণ 
কোন মুরগি পালন করা সহজ ও লাভজনক
কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি 
দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি 
দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় 
লেখকের শেষ কথা 

১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস

১০০ লেয়ার মুরগি পালনে লাভ লস সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত আলোচনা-দেশি মুরগি পালন করা খুব সহজ এবং লাভজনক হতে পারে। মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে, যেমন বয়লার, সোনালী, আসিল রোড আইল্যান্ড রেড, হোয়াইট লেগ হন ইত্যাদি। এই জাত গুলোর মধ্যে কিছু ডিম উৎপাদন ব্যবহার হয়, কিছু মাংস উৎপাদনে ব্যবহার হয় এবং কিছু দুটোই করে। মুরগি জাতের ওপর নির্ভর করে তাদের রং আকার ওজন ডিম পাড়ার সময়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি পার্থক্য বুঝা যায়। 

আরো পড়ুন:

১০০ লেয়ার মুরগি পালনে লাভ লস নির্ভর করে বিভিন্ন কারণে, যেমন মুরগির প্রজাতি, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ, বাজারে চাহিদা এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর। ১০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য প্রথম খরচ হতে পারে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। মুরগির ঘর তৈরি করার খরচ হতে পারে প্রায় বিশ হাজার টাকা। খাদ্য এবং ওষুধের খরচ হতে পারে প্রায় ১৪০০ টাকা।১০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য অবশ্যই ১০০ স্কয়ার ফিট জায়গা থাকতে হবে তা না হলে মুরগি অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং মুরগি বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান হতে পারে। 

মুরগি সম্পর্কে কিছু তথ্য বিশ্লেষণ

মুরগি হলো এক ধরনের গৃহপালিত পাখি, যার মাংস ডিম মাংসের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মুরগি বর্ণ মুরগির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বনে পাওয়া যায়। মুরগি মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মুরগি মাংস মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটায়। 

মুরগির মাংস এবং ডিম উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিযুক্ত হয়ে থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মুরগি পালন মানুষের আয়ের উচ্চ হিসেবে কাজ করে। পান করে মানুষ মুরগির ডিম ও মাংস বিক্রি করে অর্থ উপাজান করতে পারে। এছাড়াও মানুষ এই মুরগির ব্যবসা করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে। 

কোন মুরগি পালন করার সহজ ও লাভজনক

দেশি মুরগি পালন করলে আপনি বেশি লাভ বা উপার্জন করতে পারবেন। দেশি মুরগির খাবার খরচ কম এবং দেশি মুরগির বাচ্চা খুব সহজে সংগ্রহ করা যায়। তাছাড়াও দেশি মুরগির দাম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বিদেশি মুরগির তুলনায় কম এবং ভালো। বিদেশি মুরগি পালনের জন্য আধুনিক পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়। দেশি মুরগির জন্য খাবার প্রস্তুত ও তৈরির করতে নিজেই পারবেন। 

দেশি মুরগির জন্য বাজারজাত খাদ্য কিনতে হবে না। দেশি মুরগির জন্য আপনাকে চাউল, খুদ, ভাত, গমের ভুসি এবং ধান তার সঙ্গে একটু করে ফিড খেতে দিতে হবে। এ খাবারগুলো মুরগির দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা পালন করবে। দেশি মুরগি পালন করা খুব সহজ তাই আপনারা এটা পালন করে আর্থিক উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। 

কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি

দেশি মুরগি পালন করা খুব সহজ এবং লাভজনক হতে পারে। দেশি মুরগি অনেক রকম ধরনের মুরগির থেকে ভিন্ন ও ভালো হয়ে থাকে। কারণ এসব মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অন্যান্য মুরগীর চেয়ে অনেক বেশি হয়ে থাকে। দেশি মুরগির তুলনায় এদের উৎপাদন ক্ষমতা কম কিন্তু এদের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়া খাবার কম খায় এবং জায়গা অনেক কম লাগে তাই এদের উৎপাদন খরচ ও অনেক কম। 
এদের মাংস এবং ডিমের দাম বিদেশি মুরগির চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুন:

দেশি মুরগি প্রতি পালন করে পাত্রী হয় করতে পারেন। দেশি মুরগি পালন করার জন্য আপনাকে একটি খামার তৈরি করতে হবে। সেখানে মুরগির জন্য স্থান, খাবার ও পানি সম্পর্কিত সমস্ত সুবিধা থাকতে হবে। আপনি দেশি মুরগি পালন করতে পারেন একটি খামারে বা আপনার বাড়ির পাশের একটি ছোট জায়গায়। দেশি মুরগি পালন করার জন্য আপনাকে দেশি মুরগির উন্নত জাত কিনতে হবে। প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট উৎপাদনের উন্নত কৌশল ও প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করেছে। 

দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি

দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি নির্ভর করে বিভিন্ন উৎপাদনের ওপর, যেমন পালন পদ্ধতি, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বাজারের চাহিদা ইত্যাদি ওপর নির্ভর করে। দেশি মুরগি পালন একটি লাভজনক ও সহজ ব্যবস্থা হতে পারে, যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করেন। দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো, খাদ্য খরচ কম, বাজারের দর উচ্চ এবং চাহিদা অনেক। এছাড়াও সারা বছর ডিম ও মাংস উৎপাদন করে। তবে দেশি মুরগি পালনের কিছু ক্ষতিও হতে পারে। 

যেমন-মুরগির মৃত্যুহার, রোগ ক্ষান্ততা, উৎপাদন ক্ষমতা কমতি, বাজার সংকট, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এই ক্ষতি কমাতে হলে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে যেমন-ভালো মানের অসুস্থ মুরগি নির্বাচন করতে হবে, সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে উন্নত জাতের দেশি মুরগি সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া মুরগির জন্য পর্যাপ্ত চোতার ও আলো বাতাসের সুবিধা সহ একটি সুন্দর ও পরিষ্কার তৈরি করতে হবে। মুরগির বাজার দর বাজারের চাহিদা ও নিরীক্ষণ করে সঠিক সময়ে ব্যক্তি করতে হবে। 

এছাড়াও দেশি মুরগি পালনে কিছু ক্ষতিও হয়ে থাকে সেগুলো হলো-দেশি মুরগি উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির তুলনায় কম। সনাতন পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে মুরগির উৎপাদন চক্র বেশি সময় লাগে, কম ডিম পাড়ে, কম বাচ্চা হয়, বেশি রোগ, মুরগি ও বাচ্চা মারা যায়। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে দেশী মুরগি পালন করা হলে এই সমস্যাগুলো অনেকটা মোকাবেলা করা যায়। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশি মুরগি উৎপাদনের উন্নত কৌশল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। 

দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

দেশি মুরগি বছরে ১৫০ থেকে ১৮০ টি পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে। আর অন্য জাতের মুরগিগুলো ডিম দেয় সোনালি মুরগির পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে ভালো মানের খাদ্য দিলে এবং এর আগেও ডিম দিতে পারে। উন্নত জাতের দেশি মুরগি একাধারে ২ থেকে ২.৫ বছর ডিম পাড়ে। এরপর ক্রমান্বয়ে ডিম দেওয়া আর কমতে থাকে। 

দেশি মুরগি বছরে ১৫০ থেকে ১৮০ টি পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে। বয়লার মুরগি মাংসের জন্য পালন করা হয় এবং ডিম দেয় না। ব্যালেন্স মুরগির স্বাদ থেকে আট মাস বয়সের ডিম দেওয়া শুরু করে এবং বছরের ২০০ থেকে ২৫০ টি ডিম পারে। কক মুরগি সাধারণত ডিম দেয় না কিন্তু কিছু জাতের টক মুরগি বছরে ২০ থেকে ৪০টি ডিম পাড়ে। 

লেখকের শেষ কথা 

১০০ লেয়ার মুরগি পালনের লাভ লস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে এবং অন্যান্য মুরগী সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাই আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ার করে দিন। 

তাছাড়াও আমার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়ার জন্য আমার ওয়েবসাইটটি হল দিয়ে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইট ডে ভিজিট করুন। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন