বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি

মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস হল মোবাইল ফোন। এটি খুবগুরুত্বপূর্ণ জিনিস। দৈনন্দিন জীবনের  চলার পথে যা বিশ্বের সকল তথ্য জানা যায় এই মোবাইল ফোনে।তাই নিত্য নতুন ফোন নিয়ে ফোন সম্পর্কে জানার আগ্রহের কারো কমতি নেই।  বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ফোন নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি



কারণ মোবাইল ফোন একটি ব্যবহারকারীর বাজেট এবং প্রয়োজন। যেমন -ক্যামেরা,গেইমিং,বা ব্যাটারির উপর নির্ভর করে ফটো।নতুন বছরে কিছু জনপ্রিয় এবং ভালো পারফর্মিং কোন কোন ফোন গুলির নজর করা।ফিউচার নিয়ে আসতে চলেছে তারই অল্প একটা ধারণা দেবো আজকের ফিউচারে। 

পেজ সূচিপত্র: বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি


বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি তা সঠিকভাবে বলা কঠিন। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সম্প্দানের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল। আমাদের দেশে ল্যাপটপ,কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ডিভাইস সহজলভ্য হলেও মোবাইলের প্রতি সকলেরই আলাদা একটা আকর্ষণ রয়েছে। কারণ এটি কমপ্যাক্ট সাইজ, smart ফিউচার এবং ন্যানো টেকনোলজিতে তৈরি উন্নত মাদারবোর্ড, ক্যামেরা এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারের উপযোগী ব্যাটারি সরবরাহ করে থাকে। 


টেকনোলজি যত নতুন নতুন আবিষ্কারের দিকে ঝুঁকছে, তেমনি ভাবে মোবাইল ব্র্যান্ডগুলো গ্রাহকদের নতুন টেকনোলজি, ফিউচারের সমন্বয়ে নতুন নতুন মডেলের মোবাইল ফোন সরবরাহ করছে। তাহলে চলুন বাংলাদেশের কিছু সেরা মোবাইল ফোনের ফিউচার সাম্য সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক, যা থেকে আপনি আপনার জন্য বাজেটের মধ্যে সেরা মানের মোবাইল বাছাই করতে পারবেন। 


আইফোন বাংলাদেশ সেরা ফোনের মধ্যে অন্যতম 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইলের মধ্যে আইফোন অন্যতম।আইফোন মূলত প্রিমিয়াম মোবাইল ব্র্যান্ড। এই ব্যান্ডের মোবাইল অ্যাপেলের ইকো সিস্টেমের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টিগ্রেশন এবং উন্নত ফোকাস ক্যাপাবিলিটি সহ ক্যামেরা দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা আকর্ষণীয় ইউজার এক্সপেরিয়া এন্ড প্রদান করে থাকে। আই ফোনের মেইন ক্যামেরাতে বড় সেন্সর, উন্নত আপটিকাল জুমসহ উন্নত মাল্টি লেন্স সিস্টেম রয়েছে, যা দিয়ে কম আলোতে সেরা মনের ছবি ক্যাপচার করা যায়। ফটনিক ইঞ্জিন রয়েছে যা ফটোতে বেশি ডিটেইলস এবং নির্ভুল রঙ সরবরাহ করে থাকে। 

এছাড়াও লেটেস্ট মডেলের আইফোন দিয়ে বিভিন্ন ফ্রেম বেটে চার কে, আজকের ভিডিও নাইট মোট ও সিনেমাটিক মোড রেকর্ড করা যায়। এই ব্যান্ডের মোবাইল সুপার রেটিং এক্সডিয়ার ডিসপ্লে সরবরাহ করে। পাশাপাশি উচ্চতর রংয়ের নির্ভুলতার জন্য এস ডি আর সাপোর্টসহ উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত ও এল ই ডি টেকনোলজির ডিসপ্লে সরবরাহ করে।
তাছাড়াও দ্রুততম ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য ওয়াইফাই সিক্স ই সাপোর্ট করে, যা গোলযোগপূর্ন এরিয়াতে উন্নত কানেক্টিভিটি বজায় রাখে। দুঃখ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সহ ৫০০ থেকে ৪৫০০ এমএইচ পর্যন্ত ব্যাটারি সরবরাহ করে যা উন্নত ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করে। 


শাওমি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফোন 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইলের মধ্যে শাওমি অনেক ভালো মানের ফোন। এটি মূলত চাইনিজ মোবাইল অ্যাঙ্গেলব্র্যান্ড। শাওমি মোবাইল সাধারনত সাশ্রয় দামে উন্নত ফিউচারের সমৃদ্ধ মোবাইল সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়া উদধাবনী ডিজাইন এবং আকর্ষণীয় হার্ডওয়ার স্পেসিফ্রিকেশনের জন্য শাওমি মোবাইল বাংলাদেশের বেশ পরিচিত। তাছাড়া, শাওমি মোবাইলের দুটি জনপ্রিয় সাবল্যান্ড হচ্ছে mi এবং রেডমি। বাজেট অনুযায়ী ভালো মানের কনফিগারেশনের এবং আকর্ষণীয় ফিচার সরবরাহ করার শাওমি এমআই এবং রেডমি মোবাইল জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছে। শাওমি স্মার্টফোনে উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম সরবরাহ করে, যার মধ্যে একাধিক প্লেস যেমন ওয়াইড এঙ্গেল, মাইক্রো এবং ডেপথসেন্সর রয়েছে।

আরো পড়ুন:মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়


বিশেষ করে শাওমি এমআই সিরিজের মোবাইলে উচ্চ রেজুলেশন সেন্সর, নাইট মুড এবং ভালো ছবির জন্য এমআই ফটো সুবিধা প্রদান করে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইলে সাধারণত প্রচুর রেজুলেশন এর ডিসপ্লে সরবরাহ করে। কিছু কিছু মডেলের প্রাণবন্ত রং এবং গভীর কালোর জন্য অ্যামলেট বা সুপার এমোলেড টেকনোলজির ডিসপ্লে সরবরাহ করে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইলে ফাইভ-জি, ওয়াইফাই সিক্স, ব্লুটু থ ৫.০ সহ এনএফসি এর মত ফিউচার সরবরাহ করে থাকে। বেশিরভাগ শাওমি ফোনে ৪ হাজার এম এইচ থেকে পাঁচ হাজার এমএইচ বা তার বেশি ক্যাপা সিটির ব্যাটারি সরবরাহ করে, যার ফলে অনেকক্ষণ চার্জ থাকে। এছাড়াও কিছু কিছু মডেলে ১২০ ওয়াট পর্যন্ত চার্জার সরবরাহ করে। 


বাংলাদেশের সেরা ফোনের মধ্যে symphony অন্যতম 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফোনের মধ্যে symphony ফোনেও অন্যতম। চায়না মোবাইলের বাজারে আসার পর পরই বাংলাদেশের সিম্ফোনি মোবাইল বাজার জাত শুরু হয়েছে। symphony মূলত বাটন মোবাইল দিয়ে যাত্রা শুরু করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া symphony বিভিন্ন নেভিগেশন বাটন যুক্ত এন্টি লেভেলের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সরবরাহ করে থাকে। বাংলাদেশের symphony বাটন মোবাইল ১০০০ টাকায় পাওয়া যায় এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছয় হাজার টাকায় পাওয়া যায়। এছাড়াও, অ্যামলেড, আই পি এস, এলসিডি ডিসপ্লে যুক্ত symphony মোবাইল দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। 

symphony মোবাইল উন্নত মানের ক্যামেরা সেট আপ সরবরাহ করে থাকে, যা উচ্চ রেজুলেশনের ক্যামেরা, আলতা ওয়াইড লেন্স এবং মাইক্রো লেন্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাজেটের মধ্যে সাধারণত ফটোগ্রাফির জন্য symphony মোবাইল যথেষ্ট ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স প্রদান করে। সিম্ফনি মোবাইলে চালানতো এইচডি থেকে ফুল এইচডি ডিসপ্লে সরবরাহ করে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইলে সাধারণত ফোরজি এলটি সাপোর্ট, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ এবং জিপিএস সহ বিস্তৃত সংযোগ সুবিধা প্রদান করে। symphony ফোন মডেল নির্ভর করে মোবাইলের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি প্রদান করে থাকে সাধারণত ৩০০০ এমএইচ থেকে ৫০০০ এম এইচ ব্যাটারি প্রদান করে থাকে।

রিয়েলমি ফোন সেরা ফোনের মধ্যে অন্যতম 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফোনের মধ্যে রিয়েলমি ফোন ও অন্যতম। বাজে অনুযায়ী মিড রেঞ্জের মোবাইল সরবরাহ করায় রিয়েলমি মোবাইল বাংলাদেশের দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল সাশ্রয় দামে মসসিন ডিজাইন, শক্তিশালী হার্ডওয়ার সরবরাহ করে। হলে রিয়েলমি মোবাইল দীর্ঘদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে রিয়েলমি মোবাইলের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।রিয়েলমি মোবাইল মূলত আকর্ষণীয় ক্যামেরার জন্য বাংলাদেশের বেশ পরিচিতি। এই ব্যান্ডের মিড রেঞ্জমোবাইলে ৪৮ মেগাপিক্সেল, ৬৪ মেগাপিক্সেল, এবং ১০৮ মেগাপিক্সেলের উচ্চ রেজুলেশন শিলচর সরবরাহ করে। 

রিয়েলমি স্মার্টফোন সাধারণত এলসিডি থেকে অ্যামোরেড টেকনোলজির প্রাণবন্ত ডিসপ্লে সরবরাহ করে, যা দুরন্ত রং এবং মসৃণ কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করে। তাছাড়া চাহিদা অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন এবং ল্যাগ মুক্ত ভাবে মোবাইল অপারেট করার জন্য ৪ জিবি, ৬ জিবি বা ৮ জিবি রাম সরবরাহ করে। এই ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ সরবরাহ করে থাকে। অনেক মডেলে মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বাড়ানো যায়। রিয়েলমি মোবাইলের ৪০০০ এমএইচ থেকে ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারি সরবরাহ করে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য দীর্ঘ সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রদান করে। তাছাড়া ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড হওয়ায় ৩০ মিনিটে ৫০% ব্যাটারি চার্জ দেওয়া যাই।

ভিভো ফোন বাংলাদেশের সেরার মধ্যে অন্যতম

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফোনের মধ্যে ভিভো অনেক ভালো মানের ফোন,এটি মূলত চায়না স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ড সাধারণত কম দামে উন্মুক্ত ক্যামেরা এবং হাই কনফিগারেশন মোবাইল সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও, ভিভো মোবাইলে ভালো মানের প্রসেসর যুক্ত থাকায় সহজে গেম খেলা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবহৃত কন্ডিশন এবং ব্র্যান্ড নিউ উভয় ধরনের ভিভো মোবাইল সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। ভিভো স্মার্ট ফোন উচ্চ রেজুলেশন ক্যামেরা সরবরাহ করে, পাশাপাশি পরিষ্কার এবং ডিটেলস ছবির জন্য ৬৪ মেগাপিক্সেলের বেশি ক্যামেরা সেন্সর সরবরাহ করে থাকে। অনেক ভিভো মোবাইলে ফটোগ্রাফির জন্য এআই অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রটেক্ট মোড, নাইট মোড এবং বিউটি ফিল্টার। 

বর্তমানে অনেক ভিভো মোবাইলের দ্রুতগতি ইন্টারনেট ও ৫জি কালেক্টিভিটি সরবরাহ করে। উন্নত ওয়্যারলেস স্পিড এবং সংযোগের জন্য সর্বশেষ ওয়াইফাই সিক্স সাপোর্ট করে। এছাড়া অনেক ডিভাইসে দ্রুত গতিতে ফাইল ট্রান্সফারের জন্য ব্লুটুথ ৫.০ রয়েছে। ভিভো মোবাইল প্রায়ই ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জি বি পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে স্টোরেজ সরবরাহ করে। অনেক ভিভো মোবাইলের ডিভাইস ৩৩ ওয়াট বা তার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জার এবং দূরত্ব চার্জিং টেকনোলজি রয়েছে যা দ্রুত চার্জিং করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই ব্রান্ডের মোবাইলে সাধারণত ৪০০০ এমএইচ থেকে ৫০০০এম এইচ পর্যন্ত ব্যাটারি সরবরাহ করে যা সারাদিন ব্যবহারের  নিশ্চয়তা প্রদান করে।

স্যামসাং ফোন বাংলাদেশের মধ্যে ভালো ফোন 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফোনের মধ্যে স্যামসাং ফোন অন্যতম। স্যামসাং মূলত জনপ্রিয় গ্লোবাল মোবাইল ব্র্যান্ড। ইভেন সাধারণত উন্নত টেকনোলজি, ফোনটা ধরলে বিচারের সমন্বয় স্যামসাং বাটন মোবাইল থেকে শুরু করে হাই এন্ড ফ্লাগশিপ মডেলের নতুন স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশে সাশ্রয় দামে সরবরাহ করে থাকে। তবে কান্ট্রি ভারিয়ান ভেদে স্যামসাং মোবাইল এর দাম কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ স্যামসাং মোবাইলের দাম ১৯৯০ টাকা থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। স্যামসাং মোবাইলে মাল্টি লেন্স সেটআপ বা একাধিক ক্যামেরা লেন্স যেমন ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, আলটা ওয়াইড, মাইক্রো এবং টেলি ফটো সরবরাহ করে যা দিয়ে পছন্দ সই ফটোগ্রাফি করা যায়। 

স্যামসাং এর ফ্লাগশিপ মোবাইলে সাধারণত সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সরবরাহ করে, যা প্রাণবন্ত রং, গভীর কালো এবং চমৎকার কন্ট্রাক্ট রেশিও সরবরাহ করে।  অনেক লেটের স্যামসাং মোবাইলের দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রয়োগ করে ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি সরবরাহ করে। স্যামসাং ব্র্যান্ডের মোবাইলে ৬৪ জিবি থেকে শুরু করে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত ইন্টার্নাল স্টোরেজ সরবরাহ করে থাকে। অনেক স্যামসাং মোবাইলে অতিরিক্ত স্ট্রোলের জন্য মাইক্রো এসডি কার্ড সরবরাহ করা যায়। তাছাড়া মডেল মেয়েদের স্যামসাং মোবাইলের ৪০০০ এম এইচ থেকে ৬০০০ এমএইচ বা তার বেশি ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সরবরাহ করে। এছাড়াও ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর জন্য সফটওয়্যার অপ্টিমাইজ করা যায়।


ওয়ান প্লাস বাংলাদেশের ফোনের মধ্যে অন্যতম 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইলের মধ্যে ওয়ান প্লাস প্রিমিয়াম কমিটির মোবাইল ব্র্যান্ড। এই ব্যান্ডের মোবাইল আকর্ষণীয় আউটলুক, উচ্চমানের প্রসেসর, এবং উন্নত ক্যামেরা সরবরাহ করে থাকে। ফলে আকর্ষণীয় কালারের ছবি ক্যাপচার করার পাশাপাশি হাই গ্রাফিক্সের গেম মসৃণ ভাবে খেলা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ান প্লাস এবং ওয়ান প্লাস নোড সহ জনপ্রিয় সিরিজে প্রায় সকল মডেলের ওয়ান প্লাস মোবাইল সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে লেটেস্ট মডেলের ওয়ান প্লাস মোবাইলের দাম ৩৫০০০ টাকা থেকে ৬০০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ওয়ান প্লাস মোবাইলের উচ্চ রেজুলিউশন মাল্টি লেন্স ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে, যা দিয়ে অনেক ভালো কয়েকটি ছবি তোলা যায়।

এছাড়াও ফটোগ্রাফির জন্য বিস্তৃত ফিউচার যেমন নাইট স্কেপ, এইচডিআর, এবং প্রমোড সরবরাহ করে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইলে ফ্লুইড অ্যামোলেড ডিসপ্লে সরবরাহ করে, মসৃণ স্কুলিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতার জন্য ৯০ হাজ থেকে ১২০ হাজ এর উচ্চ রিফলেস রেট সরবরাহ করে। তাছাড়াও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করার জন্য লেটেস্ট মডেলের ওয়ান প্লাস মোবাইল এ ৫-জি নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল সাধারণত ১২৮ জিবি থেকে ৫১২ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনাল স্টোরেজ সরবরাহ করে। ওয়ান প্লাস মোবাইল এ সাধারণত ৪৫০০ এমএইচ থেকে 5000 এম এইচ ব্যাটারি সরবরাহ করে থাকে। দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তির জন্য ওয়াপ চার্জ ফিউচার রয়েছে, যা ব্যাটারি চার্জ দ্রুত পূরণ করে থাকে। 


বাংলাদেশের ফোনের মধ্যে টেকনো ফোন অন্যতম 

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফোনের মধ্যে টেকন অন্যতম। চীনে সবচেয়ে উদীয়মান মোবাইল ব্র্যান্ড হচ্ছে টেকনো। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল সাধারণত আকর্ষণীয় ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে। পাশাপাশি দামী শাশুড়ি হওয়ায় বাংলাদেশের বাদের দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের টেকনো মোবাইলের দাম ৬০০০ টাকা থেকে ১১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। টেকনো ব্র্যান্ডের মোবাইলে একাধিক ক্যামেরা সেটআপ যেমন আল্ট্রা ওয়াইড, মাইক্রো এবং ডেপড সেন্সর সহ মাল্টি ক্যামেরা সেটআপ সরবরাহ করে। যার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও ক্যাপচার করা যায়। অনেক টেকনো মোবাইলে সিনারি ইকোনাইজ এবং প্রটেক্ট মোড সহ আরো ভালো ফটোগ্রাফির জন্য এআই সরবরাহ করে। 

টেকনো এইচডি থেকে ফুল এইচডি প্লাস পর্যন্ত বিস্তৃত ডিসপ্লে সরবরাহ করে, যা দৈনন্দিন কাজ এবং লিঙ্গের জন্য ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করে। অনেক টেকনো মোবাইলে মাইক্রো একটি কার্ডের মাধ্যমে ইন্টারনাল স্টোরে সরবরাহ করে, যার ফলে প্রয়োজন অনুসারে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বাড়ানো যায়। তাছাড়া টেকনো মোবাইলে ৩২ জিবি থেকে ১২৮ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সরবরাহ করে। এই ব্র্যান্ডের মোবাইলে ৪০০০ এমএইচ থেকে ৬০০০ এমএইচ ব্যাটারি সরবরাহ করে থাকে, যা একবার চার্জ করে দীর্ঘ সময় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।



অপ্পো ফোনও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো ফোন

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ফোনের মধ্যে অপ্পো ফোন ও অন্যতম। উপ চেয়ে চায়না স্মার্ট ফোন ব্র্যান্ড যা ইনোভেটিভ ক্যামেরা টেকনোলজি এবং মসৃণ ডিজাইনের জন্য বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ব্র্যান্ড সাধারণত উন্নত ফিউচার এর সমন্বয়ে মিড রেঞ্জ এবং হাইমিড রেঞ্জ এর মোবাইল সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে ব্যবহৃত কন্ডিশন এবং লেটেস্ট উভয় ধরনের অপ্পোফোন বাংলাদেশের সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। অপ্পো মোবাইল মূলত ক্যামেরার জন্য বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয়। কারণ এই ব্র্যান্ডের মোবাইল উচ্চ রেজুলেশন সেন্সর, একাধিক লেন্স এবং উন্নত ফটোগ্রাফি মোড যেমন নাইট মোড, পোস্টেট মোড, এবং এ আই সরবরাহ করে। এ ব্র্যান্ডের অনেক মোবাইলে এমুলেট বা সুপার এমুলেট ডিসপ্লে সরবরাহ করে।

অপ্পো মোবাইল সাধারণত মিডিয়াটেক এবং ইস্পেন ড্রাগন সিরিজের শক্তিশালী প্রসেসর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, জাম মসৃণ মাল্টি ট্রাকিং এবং গেম এর জন্য উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করে। লেটেস্ট মডেলের অপ্পো মোবাইলে ফাইভ জি কানেক্টিভিটি রয়েছে। অপ্পো মোবাইলের সাধারণত ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জিবির বেশি স্টোরেজ প্রদান করে। অনেক অপু মোবাইলে ৫০০০ এমএইচ বা তার বেশি ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সরবরাহ করে, যা একবার চার্জে প্রায় সারাদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এই ব্রান্ডের মোবাইলে সিওসি ফ্লাস চার্জ টেকনোলজির ব্যবহার করে থাকে যা অল্প সময়ে মধ্যে মোবাইল দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম হয়। 

লেখকদের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায়, উপরে আলোচিত ফোন গুলো মোবাইল প্রেমের জন্য বেশ বাড়তি সংযোজন নিয়ে আসবে। যদিও সবগুলো তথ্য হিউ মারের ভিত্তিতে লেখা। তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ার করে দিন। আমার এই ওয়েবসাইটে আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে হলে আমার এই ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে নিন। আর্টিকেলটি সম্পন্ন পরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন