ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে এবং প্রতি মাসে বাইরের দেশ থেকে হাজার হাজার ডলার রেমিটেন্স হিসেবে বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং বেসরকারি চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। অনেক মানুষ বেকারে পড়ছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য ল্যাপটপ অপরিহার্য। ল্যাপটপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করা হয় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা প্রায় জানতে চান কোন ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। বর্তমান বাজারে অনেক ধরনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়, কিন্তু সঠিক ল্যাপটপ বেছে নেওয়া সব সময় সহজ নয়, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্র: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে
ল্যাপটপের প্রসেসর কেমন হওয়া উচিত
রাম কেমন হওয়া উচিত ল্যাপটপের
ল্যাপটপের স্টোরেজ কেমন হওয়া উচিত
ল্যাপটপের ডিসপ্লে ও স্কিন রেজোলিউশনের গুরুত্ব
ল্যাপটপের ব্যাটারির ব্যাকআপ
অ্যান্টিভাইরাস থাকাটা কি বাধ্যতামূলক ল্যাপটপে
আলাদা গ্রাফিক্স ইউনিট দরকার কিনা
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোনটি ভালো ডেক্সটপ না ল্যাপটপ
পুরাতন বা রিফার্বিশড নয়,নতুন ল্যাপটপ কিনবেন
লেখক এর শেষ মন্তব্য
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে
অনেকে ভাবে একটা সাধারন ল্যাপটপ কিনলেই চলবে কিন্তু আজকের দিনে ডিজিটাল মার্কেটিং মানে শুধু ফেসবুক পেজ কিংবা অ্যাডস চালানো নয়। একজন ডিজিটাল মার্কেটারের ডিভাইসে ওপেন থাকে নানান ট্যাব, করতে হয় google অ্যানালিটিক্স, মনিটরিং, ক্যানভাস বা ফিগমাতে ডিজাইন, মেইল,অটোমেশন, কন্টেন্ট প্ল্যানিং এমনকি হালকা ভিডিও এডিটিং ও।
আর এই সব কিছু একসাথে চালাতে গেলে যে কোন সাধারণ ল্যাপটপ কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যেসব ল্যাপটপে স্লো প্রসেসর আর কম রাম তাদের কাজের প্রোডাক্টিভিটি কে কমিয়ে দিচ্ছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের এর জন্য একটা ভালো মান ও বেশি রামের ল্যাপটপ কেনা উচিত।তাহলে আপনাকে এমন ল্যাপটপ বেছে নিতে হবে, যেটা আপনার কাজ কে এক ধাপ এগিয়ে দিবে।
ল্যাপটপের প্রসেসর কেমন হওয়া উচিত
ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিদিন অনেক রকম টুলস ও সফটওয়্যার এর ব্যবহার করতে হয়। গুগলের এডস আচ্ছা গুগল অ্যাপস, ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার,ক্যানভা,গুগোল শিটস, মেরি মার্কেটিং সফটওয়্যার, জুম মিটিং ইত্যাদি।এমন সবকিছু একসাথে নির্বিঘ্নে চালাতে হলে।
একটি ভালো মানের ল্যাপটপের প্রসেসর হতে হবে যথেষ্ট পরিমাণের শক্তিশালী ও ফাস্ট রেসপন্সিভ। এমন একটি ল্যাপটপের দিকে নজর দিতে হবে।যার প্রসেসর মাল্টিটাস্কিং, ব্রাউজিংও অ্যাপ্লিকেশন লোডিং এর অসাধারণ পারফরম্যান্স দিতে পারবে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
র্যাম কেমন হওয়া উচিত ল্যাপটপের
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ৮ জিবি RAM হচ্ছে একদম বেসিক। আপনি যদি ক্রমাগত মাল্টি ট্রাকিং য়ের পাশাপাশি মাঝে মাঝে কেন ব ফটোশপ ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করেন। তাহলে ১৬ জিবি RAM অনেক বেশি স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স দেবে। RAM Type এর ক্ষেত্রে DDR4 এখনো ভালো পারফরম্যান্স দেয় তবে ফিউচার এর জন্য রেডি থাকতে হলে DDR5 নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য আপনি ৮ জিবি বা 16 জিবি RAM যুক্ত ল্যাপটপের স্পিড যথেষ্ট শক্তিশালী ও ফার্স্ট রেসপন্সিভ ভালো পাওয়া যায়। তাহলে ভবিষ্যতে আলাদা করে ram দরকার লাগাতে পারবে না। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে।
ল্যাপটপের স্টোরেজ কেমন হওয়া উচিত
ল্যাপটপে স্টোরেজ,বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য।SSD (soli state Drive) স্টোরেজ এক কথায় অপরিহার্য।HDD স্টোরেজ টাইপ ল্যাপটপ গুলো তুলনামূলক স্লো।SSD হল ল্যাপটপের পুরো কাজটাই স্মুথ লাগে এবং খুব ফাস্ট
তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য মিনিমাম ২৫৬ জিবিSSd থাকা ভালো। তবে যদি আপনি নিয়মিত ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ভিডিও ক্লিভ বা ডিজাইন ফাইল নিতে কাজ করে। তাহলে ৫১২ জিবিssd বা তার বেশি স্টোরেজ আপনার প্রয়োজন হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য।
ল্যাপটপের ডিসপ্লে ও স্কিন রেজোলিউশনের গুরুত্ব
ল্যাপটপে সাধারণভাবে বললেই চলে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর ট্রাকে ডিসপ্লে কোয়ালিটি খুব একটা ম্যাটার করে না। এক্ষেত্রে একটি ফুল এইচডি(1920×1080) ল্যাপটপের ডিসপ্লে ও স্কিনই রেজোলিউশনের জন্য যথেষ্ট হয়।তবে যদি আপনার কাজের মধ্যে হাই কোয়ালিটি গ্রাফিক্স ডিজাইন।
কিংবা ভিডিও এডিটিং থাকে তাহলে কালার অ্যাকিউরেসি, স্কিন ব্রাইডেন্স, এবং ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল হিসেব করে ল্যাপটপ কেনা উচিত। তাই ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য IPS panel যুক্ত মনিটরী স্কিন সবথেকে বেস্ট চয়েজ হতে পারে। এর কালার রিপ্রোডাকশন ভালো হবে।
ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ
ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ যদি ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাহলে কাজের ফ্লো বিঘ্ন হয় এবং প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। সাধারণত কাজের জন্য 5 থেকে 6 ঘন্টা ব্যাকআপ ব্যাটারি যথেষ্ট হলেও, যারা অনেকক্ষণ zoom মিটিং, কনটেন্ট তৈরি বা ডেটাএনালাইসিস করেন। তাদের জন্য সবথেকে ভালো 7/8 ঘন্টা বেশি ব্যাকআপ হলে।
ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ এর পাশাপাশি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড ল্যাপটপ হলে কাজের মাঝে দ্রুত চার্জ ফুল করে আবার কাজ শুরু করা যাবে। তাই ল্যাপটপ যদি ভালো মানের হয়।ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো রিফ্লেক্স পাওয়া যায়। কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়।
অ্যান্টিভাইরাস থাকাট কি বাধ্যতামূলক ল্যাপটপে
ফ্রিল্যান্সিং জগতে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই ইমেইল,ওয়েবসাইট,ক্লায়েন্ট ফাইল,টেকিং কোড,অটোমেশন টুল সব মিলিয়ে একরকম ডেটা ও লিংক এর জগতে বসবাস। তাই সবাই প্রতিনিয়ত রিক্সের মুখোমুখি হচ্ছেন। সেজন্য আপনার ল্যাপটপে ভালো একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার থাকা উচিত।
বিশেষ করে আপনার ল্যাপটপে কাজে অনলাইন বা ব্রাউজিং সিকিউরিটির জন্য। তাই আমরা প্রিমিয়াম আন্টি ভাইরাস ব্যবহারের বাড়তি সুরক্ষা পেয়ে থাকি।
আলাদা গ্রাফিক্স ইউনিট দরকার কিনা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজে এমনকি মিড লেভেলের গ্রাফিক্স ও ভিডিও এডিটিং এর জন্য আলাদা গ্রাফিক্স কার্ডের তেমন প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপেই Inter বাAMD এর বিল্ট ইন গ্রাফিক্স থাকে। যা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরনের কাজ আমরা করে থাকি।
তাই আলাদা গ্রাফিক্স ইউনিট দরকার নাই ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য। আপনি যদি হেভি হেভি ভিডিও বা 3D গ্রাফিক্স এডিটিং করতে না চান তাহলে আলাদা গ্রাফিক্স ইউনিটে টাকা খরচ করার কোন যুক্তি নেই। আপনি যদি বাজেট RAM বা ssd আপগ্রেড ব্যয় করলে বেশি লাভবান হবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোনটি ভালো ডেক্সটপ না ল্যাপটপ
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ইন্ডাস্ট্রি। যেখানে টাইমিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশের মত দেশে অনেক সময় লোডশেডিং হয়, তখন ডেক্সটপ একদমই অচল হয়ে পড়ে। ওয়াইফাই কানেকশন বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমরা কোন কাজই আর করতে পারিনা ডেক্সটপে। আর যখন লোডশেডিং হয় না। তখন সব কাজই স্মুথ ভাবে ডেক্সটপে আমরা করতে পারি।
কিন্তু ল্যাপটপে ব্যাটারি সুবিধা থাকায় ইন্টারনেট চালু থাকলে আপনি অবিরত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে মোবাইল হটস্পট ব্যবহার করে ইন্টারনেট চালু রাখা যায় ল্যাপটপে। এছাড়াও ল্যাপটপে বেল্ট এন ক্যামেরা, মাই কই স্পিকার থাকায় অনলাইনে মিটিং বা লাইভ সেশন করতেও আলাদা কোন কম্পিউটারের দরকার হয় না।
পুরাতন বা রিফার্বিশড নয়, নতুন ল্যাপটপ কিনবেন
পুরনো বা রিফার্বিশড ল্যাপটপ গুলোতে সাধারণত আগেই ব্যবহারকারী থেকে হওয়ার সমস্যা বা ত্রুটিগুলো রিপেয়ার করা হয়। রিফার্বিশড ল্যাপটপে ব্যাটারির হেলথ কমে যায়। তাছাড়া প্রায় এইগুলোতে হিটিং ইস্যু, সফটওয়্যার গ্লিচ, কিংবা হার্ডওয়্যার কম্পাটিবিলিটির মতো সমস্যা দেখা দেয় সেই সাথে আপনি সবসময় ওয়ারেন্টি বা প্রমাণ কাস্টমার সাপোর্ট নাও পেতে পারেন। এবং পুরাতন বিফার্বিশড ল্যাপটপগুলোতে এই সমস্যাগুলো হতে পারে।
অন্যদিকে নতুন ল্যাপটপে প্রসেসর,ssd ইউনিট সহ সকল কম্পোনেন্ট থাকে আপডেট। এগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সমস্ত টুলস চালানোর জন্য পারফেক্ট। তাছাড়া যদি নতুন উন্নত মানের ল্যাপটপ হয় তাহলে ভালো পারফমেন্স পাওয়া যায়। দীর্ঘক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকায় অনলাইন মার্কেটিং কাজে বেশ উপযোগী । আর কমপক্ষে ১-২ বছরের ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়।